২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন
বর্তমানে মোবাইল গেমিং শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং অনেকের জন্য এটি একটি শখ, এমনকি ক্যারিয়ারের সুযোগও হয়ে উঠেছে। PUBG Mobile, Free Fire, Call of Duty Mobile- এর মতো গেমগুলো খেলতে হলে ভালো গ্রাফিক্স, স্মুথ পারফরম্যান্স, এবং ল্যাগ-ফ্রি ডিভাইসের দরকার। কিন্তু সমস্যাটা হয় বাজেটের ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ ভালো গেমিং ফোনের দাম ৩০-৪০ হাজার বা তার বেশি থাকে, যা সবার বাজেটের মধ্যে হয় না।
তবে সুখবর হলো, এখন ২০,০০০ টাকার মধ্যেও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত গেমিং ফোন পাওয়া যায়, যেগুলোতে ভালো প্রসেসর, পাওয়ারফুল ব্যাটারি, হাই রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে, এবং ভালো কুলিং সিস্টেমসহ আরোনানাবিধ ফিচার রয়েছে। বর্তমানে Apple Gadgets এ সকল ব্যান্ডের গেমিং ফোনগুলোতে চলছে আকর্ষনীয় ডিসকাউন্ট। তাদের দারুন সব অফার সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন Apple Gadgets ওয়েবসাইটে!
এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো ২০,০০০ টাকার মধ্যে বাজারে থাকা সেরা গেমিং ফোনগুলো সম্পর্কে। কোন ফোনের প্রসেসর কেমন, কোন ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি, এবং কোন ফোন গেমিংয়ের জন্য সত্যিই ভ্যালু ফর মানি, সবকিছু বিস্তারিতভাবে জানবেন। তাই, যদি আপনি বাজেটের মধ্যে সেরা গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাহলে এই ব্লগটি আপনার জন্য!
২০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ১০টি ফোনের তালিকা
iQOO Z9x 5G

iQOO Z9x 5G একটি চমৎকার গেমিং স্মার্টফোন, যা ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি সেরা অপশন। যারা বাজেটের মধ্যে ভালো গেমিং পারফরম্যান্স খুঁজছেন, এটি বিশেষ করে তাদের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। শক্তিশালী প্রসেসর লং ব্যাটারি লাইফ, এবং স্মুথ ডিসপ্লের এই ফোনটি গেমারদের জন্য দারুণ একটি গেমিং প্যাকেজ বলা যেতে পারে।
iQOO Z9x 5G ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon 6 Gen 1 চিপসেট। এটি 4nm হওয়ায় হিটিং ইস্যু তুলনামূলক কম এবং পাওয়ার এফিশিয়েন্সিও ভালো। GPU হিসেবে রয়েছে Adreno 710, যাতে PUBG Mobile, Free Fire, এবং Call of Duty Mobile-এর মতো গেমগুলো মিড-টু-হাই সেটিংসে স্মুথলি চালানো যায়। বর্তমানে ফোনটির ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট- টি ২০ হাজার টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে।
এই ফোনের 6.72 ইঞ্চির FHD+ LCD ডিসপ্লেতে 120Hz রিফ্রেশ রেট রয়েছে। এর মানে হলো, স্ক্রলিং এবং গেমিং-এর সময় ডিসপ্লে অনেক বেশি স্মুথ ফিল হবে, যা অনলাইন গেমিং-এর জন্য বেশ উপযোগী।
এতে 6000mAh ব্যাটারি রয়েছে, যা গেমিং, ভিডিও স্ট্রিমিং এবং সাধারণ ব্যবহারে দীর্ঘ সময় ধরে চলে। সঙ্গে রয়েছে 44W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট, যার ফলে অল্প সময়েই ফোন চার্জ করে নেওয়া সম্ভব।
গেমিং চলাকালীন ফোন যাতে অতিরিক্ত গরম না হয়ে যায়, সেজন্য উন্নত কুলিং মেকানিজম দেওয়া হয়েছে। ফলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাগ ও ওভারহিটিং ছাড়াই গেম খেলতে পারবেন। এছাড়াও ফোনোটি 5G কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে, যা আপনাকে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিবে।
iQOO Z9x 5G মূলত একটি দুর্দান্ত গেমিং ফোন। এটি বাজেট সেগমেন্টে সেরা পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। যারা ল্যাগ-ফ্রি গেমিং এবং দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ চান, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো চয়েস হতে পারে।
আরও পরুনঃ- ১৫০০০ টাকায় গেমিং ফোন
Redmi Note 13 4G

Redmi Note 13 4G ফোনটি Qualcomm Snapdragon 685 প্রসেসর দ্বারা চলে, যা 6nm আর্কিটেকচারে তৈরি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে Adreno 610 জিপিউ। এটি মিড-রেঞ্জ গেমিং-এর জন্য উপযুক্ত, এবং PUBG Mobile, Free Fire, Call of Duty Mobile-এর মতো গেমগুলো মিড-টু-হাই সেটিংসে স্মুথলি চালানো সম্ভব।
বর্তমানে ফোনটির ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট- টি ২০ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে। এই ফোনে রয়েছে 6.7 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে, যেখানে 120Hz রিফ্রেশ রেট রয়েছে। AMOLED প্যানেল হওয়ায় কালার কনট্রাস্ট ও ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি চমৎকার।
ফোনটিতে 5000mAh এর ব্যাটারি থাকায় একবার চার্জ দিলেই দিনভর ব্যবহার করা সম্ভব। এছাড়াও এতে 33W ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় অল্প সময়েই চার্জ করা যায়। পাশাপাশি এতে স্টেরিও স্পিকার এবং Dolby Atmos সাপোর্ট থাকায় গেমিং-এর সময় সাউন্ড এক্সপেরিয়েন্স আরও ইমারসিভ হবে। এই ফোনটিতে 5G সাপোর্ট নেই, শুধুমাত্র 4G নেটওয়ার্ক রয়েছে।
যদি আপনি ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ব্যালান্সড ফোন চান, যেখানে ভালো ডিসপ্লে, ব্যাটারি লাইফ, ক্যামেরা এবং গেমিং পারফরম্যান্স থাকবে, তাহলে Redmi Note 13 4G হতে পারে একটি চমৎকার অপশন। বিশেষ করে, যারা AMOLED ডিসপ্লে ও স্টেরিও স্পিকারের কারণে গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এক্সপেরিয়েন্স উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এটি ভালো চয়েস হতে পারে!
Poco X6 Neo

Poco X6 Neo হলো Poco- এর নতুন বাজেট গেমিং স্মার্টফোন, যা স্টাইলিশ ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং উন্নত ডিসপ্লের সমন্বয়ে বাজারে এসেছে। যারা ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি দুর্দান্ত অপশন। শক্তিশালী প্রসেসর, 120Hz রিফ্রেশ রেটের AMOLED ডিসপ্লে এবং লং ব্যাটারি লাইফ – সব মিলিয়ে এটি একটি ভালো ভ্যালু ফর মানি গেমিং ফোন।
Poco X6 Neo-তে রয়েছে Mediatek Dimensity 6080 প্রসেসর, যা একটি শক্তিশালী মিড-রেঞ্জ চিপসেট। এটি 6nm আর্কিটেকচারে তৈরি হওয়ায় ব্যাটারি খরচ কম হয় এবং ফোনটি সহজে গরম হয় না।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে Mali-G57 MC2 জিপিউ। Free Fire, PUBG Mobile, এবং Call of Duty Mobile-এর মতো গেমগুলো মিড-টু-হাই সেটিংসে ল্যাগ ছাড়াই চালানো যায়। বর্তমানে ফোনটির ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট- টি ২০ হাজার টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে।
ফোনটিতে 6.67 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে, যেখানে 120Hz রিফ্রেশ রেট এবং 1000 nits পিক ব্রাইটনেস দেওয়া হয়েছে। AMOLED প্যানেল থাকায় কালার রেঞ্জ অসাধারণ, যা গেমিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে দিবে।
এর 5000mAh ব্যাটারি থাকায় আপনি দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করতে পারবেন। এছাড়া 33W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় দ্রুত চার্জ করে নেওয়া সম্ভব। যদিও এটি একটি গেমিং ফোন, তবে ক্যামেরা সেকশনে রয়েছে 108MP প্রাইমারি ক্যামেরা এবং 2MP ডেপথ সেন্সর। সেলফির জন্য রয়েছে 16MP ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ফোনটি স্লিম ডিজাইন ও গ্লাস ব্যাক ফিনিশ সহ এসেছে, যা দেখতে প্রিমিয়াম লাগে।এতে স্টেরিও স্পিকার ও Hi-Res Audio সাপোর্ট থাকায় গেমিং ও ভিডিও দেখার সময় অসাধারণ সাউন্ড এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে।
Motorola Moto G24 Power

এই ফোনে রয়েছে MediaTek Helio G85 প্রসেসর ও Mali-G52 MC2 GPU, যা মিড-রেঞ্জ গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো। Free Fire, PUBG Mobile, এবং Call of Duty Mobile-এর মতো গেমগুলো মিডিয়াম সেটিংসে স্মুথভাবে খেলা সম্ভব। বর্তমানে ফোনটি তিনটি ভেরিয়েন্টই ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছেঃ
- 4GB+128GB
- 8GB+128GB
- 8GB+256GB
Motorola Moto G24 Power- এ রয়েছে 6.56 ইঞ্চির HD+ IPS LCD ডিসপ্লে রয়েছে, যেখানে 90Hz রিফ্রেশ রেট দেওয়া হয়েছে। যদিও এটি AMOLED নয়, তবে 90Hz থাকায় স্ক্রলিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা বেশ স্মুথ হবে।
এই ফোনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর 6000mAh ব্যাটারি, যা একবার চার্জে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এছাড়া 30W TurboPower ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় দ্রুত চার্জ করে নেওয়া সম্ভব।
ফোনটি ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ডিজাইন সহ এসেছে, যা ছোটখাটো পানির ছিটা থেকে ফোনকে রক্ষা করবে। এছাড়াও স্টেরিও স্পিকার এবং Dolby Atmos সাপোর্ট থাকায় ভালো অডিও এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে।
যদি আপনি ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি লং ব্যাটারি ব্যাকআপ, ভালো স্পিকার ও মিড-রেঞ্জ গেমিং পারফরম্যান্স খুঁজছেন, তাহলে Motorola Moto G24 Power হতে পারে একটি ভালো চয়েস।
Motorola Moto G45 5G

Moto G45-এ রয়েছে Qualcomm Snapdragon 6s Gen 3 চিপসেট, যা ৬ ন্যানোমিটারে নির্মিত। এর অক্টা-কোর প্রসেসরটিতে (২x২.৩ গিগাহার্টজ Cortex-A78 এবং ৬x২.০ গিগাহার্টজ Cortex-A55) এবং Adreno 619 জিপিইউ রয়েছে। এই হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনটি মিড-রেঞ্জ গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য উপযুক্ত।
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির HD+ IPS LCD ডিসপ্লে (৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল), যা ১২০Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। Moto G45-এ রয়েছে ৫০০০mAh ব্যাটারি, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রদান দিবে। তবে, এর ১৮ ওয়াট চার্জারের চার্জিং স্পিড সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফোনটি পাওয়া যাবে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজে। ডিজাইন প্রিমিয়াম লুক নিয়ে এসেছে, এবং এর পেছনের প্যানেলটি ইকো-লেদার (সিলিকন পলিমার) দিয়ে তৈরি। ফোনটির ওজন ১৮৩ গ্রাম এবং পুরুত্ব ৮ মিমি, যা সহজে বহনযোগ্য।
Galaxy M15 5G

স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ১৫- ৫জি একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, যা উন্নত পারফরম্যান্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং উন্নত ক্যামেরা ফিচারে অন্যতম। যারা ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে।
গ্যালাক্সি এম১৫ ৫জি-তে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+ চিপসেট, যা ৬ ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে নির্মিত। এর অক্টা-কোর প্রসেসরটিকে (২x২.২ গিগাহার্টজ Cortex-A76 এবং ৬x২.০ গিগাহার্টজ Cortex-A55) এবং মালি-জি ৫৭ এমসি২ জিপিইউর সমন্বয়ে আনা হয়েছে। এই হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনটি মিড-রেঞ্জ গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য উপযুক্ত। PUBG Mobile, Free Fire, এবং Call of Duty Mobile-এর মতো গেমগুলো মিডিয়াম থেকে হাই সেটিংসে স্মুথলি খেলা সম্ভব।
এতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির FHD+ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে (১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল), যা ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। এই ডিসপ্লে উজ্জ্বল রঙ এবং স্মুথ ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে থাকে।
গ্যালাক্সি এম১৫ ৫জি-তে রয়েছে ৬০০০mAh ব্যাটারি, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে। এছাড়াO এতে ২৫W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় দ্রুত চার্জ করা সম্ভব।
Galaxy F15 5G

গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি-তে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+ চিপসেট, যা ৬ ন্যানোমিটারে নির্মিত। এর অক্টা-কোর প্রসেসরটিতে (২x২.২ গিগাহার্টজ Cortex-A76 এবং ৬x২.০ গিগাহার্টজ Cortex-A55) এবং মালি-জি৫৭ এমসি২ জিপিইউর সমন্বয় রয়েছে। এই হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনটি মিড-রেঞ্জ গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য উপযুক্ত।
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬ ইঞ্চির FHD+ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে (১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল), যা ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। এই ডিসপ্লে উজ্জ্বল রঙ এবং মসৃণ ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে, যা গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট উপভোগের জন্য সেরা
বর্তমানে এই ফোনের ৬/১২৮ জিবির ভেরিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে। গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি-তে রয়েছে ৬০০০mAh ব্যাটারি, যাতে আপনি লং ব্যাটারি লাইফ পাবেন। পাশাপাশি এতে ২৫W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় দ্রুত চার্জ করা সম্ভব।
Realme C63

রিয়েলমি C63-তে রয়েছে ইউনিসক টাইগার টি৬১২ চিপসেট, যা অক্টা-কোর প্রসেসর (২x১.৮ গিগাহার্টজ Cortex-A75 এবং ৬x১.৮ গিগাহার্টজ Cortex-A55) এবং মালি-জি৫৭ জিপিইউ সহ বাজারে এসেছে। এই কনফিগারেশনটি হালকা গেমিং-এর জন্য উপযুক্ত।
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। এই ডিসপ্লে উজ্জ্বল রঙ এবং মসৃণ ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে, যা গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট উপভোগের জন্য সেরা।
রিয়েলমি সি৬৩-তে রয়েছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে। এছাড়া, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় দ্রুত চার্জ করা সম্ভব।
রিয়েলমি সি৬৩ দুটি র্যাম এবং স্টোরেজ অপশনে পাওয়া যায়ঃ
- ৬/১২৮ জিবি
- ৮/১২৮ জিবি
এছাড়া, মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ বাড়ানো সম্ভব। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে চলে, ফলে এটি সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট এবং সিকিউরিটি প্যাচ দিয়ে থাকে।
Realme C75

রিয়েলমি সি৭৫ একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন। এটি লেটেস্ট ফিচার এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে তৈরি। যারা সাশ্রয়ী মূল্যে একটি নির্ভরযোগ্য গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে।
রিয়েলমি সি৭৫-তে রয়েছে Mediatek Helio G92 Max চিপসেট, যা অক্টা-কোর প্রসেসর (২x২.০ গিগাহার্টজ Cortex-A75 এবং ৬x১.৮ গিগাহার্টজ Cortex-A55) এবং মালি-G52 জিপিইউর সমন্বয়।
রিয়েলমি সি ৭৫ দুইটি র্যাম এবং স্টোরেজ অপশনে পাওয়া যায়ঃ
- ৬/১২৮ জিবি
- ৮/১২৮ জিবি
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭২ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। রিয়েলমি সি৭৫-তে রয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা য়াপনাকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ দিবে। এছাড়া, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় এটি দ্রুত চার্জ করা সম্ভব।
Galaxy A15 4G

যারা সাশ্রয়ী মূল্যে একটি ভালো গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। ফোনটিতে মিডিয়াটেক হেলিও G99 চিপসেট রয়েছে। GPU হিসেবে মালি-G57 ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্যালাক্সি A15 4G-তে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ৮০০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা প্রদান করে। বর্তমানে ফোনটির দুইটি ভেরিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছেঃ
- ৬/১২৮ জিবি
- ৮/১২৮ জিবি
ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে চলে, যা সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট এবং সিকিউরিটি প্যাচ দিয়ে থাকে। এর ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি লং ব্যাটারি লাইফ দিবে। সাথে থাকছে ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
উপসংহার
বর্তমান বাজারে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে, যা ভালো পারফরম্যান্স, শক্তিশালী ক্যামেরা, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ সরবরাহ করে। এই ফোনগুলির মধ্যে, উল্লেখিত প্রত্যেকটি ফোন তার নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়ে বাজারে আলোচিত।
যারা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এই সব ফোনগুলো দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এগুলোতে রয়েছে শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত ডিসপ্লে, ভাল ক্যামেরা সেটআপ, এবং বৃহৎ ব্যাটারি, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে এবং হালকা গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত। তবে, কিছু ফোনে গেমিং পারফরম্যান্স বা প্রোসেসরের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, যা ভারী গেমিং এর জন্য কম উপযোগী।
এছাড়া, প্রতিটি ফোনের মধ্যে আলাদা স্টোরেজ অপশন এবং ফাস্ট চার্জিং সুবিধাও রয়েছে। সর্বোপরি, আপনি যদি একটি বাজেট গেমিং ফোন খুজে থাকেন, তবে উপরের ফোনগুলির মধ্যে কোনো একটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে।

Adnan Rashed Khan is the Director of Apple Gadgets, known for his passion for creative technology solutions. He shares technical tips and tricks to enhance user experiences and streamline processes. Adnan’s innovative approach and commitment to excellence make him a leading figure in the tech industry.